Header Ads

প্রকৃতির জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়েছেন যারা

প্রকৃতির জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়েছেন যারা 


অরণ্য নিধন, দাবানল, জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্যের বিনাশ -- সর্বনাশের শেষ নেই। এই সর্বনাশের মধ্যে একমাত্র ভরসা বর্তমান বিশ্বের আড়াই হাজার উদ্ভিদ-উদ্যান, যেগুলি সংরক্ষণ করে রেখেছে অন্তত আশি হাজার প্রজাতির ষাট লক্ষ উদ্ভিদ। উদ্যানগুলির এই উদ্ভিদসম্পদ যাঁরা তিল তিল করে সংগ্রহ করে অসংখ্য প্রজাতির উদ্ভিদকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করেছেন, তাঁরা কিন্তু চিরকালই উপেক্ষিত। তাঁরা ইউরোপীয় সমাজের নানা স্তরের নানা শ্রেণির মানুষ— সরকারি কর্মচারী, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কৃষক, পর্যটক, নৌবিভাগের আধিকারিক, নাবিক, উদ্ভিদপ্রেমী, এমনকি রাখাল পর্যন্ত। আপাতদৃষ্টিতে এই সব উদ্ভিদ অন্বেষণকারী ও সংগ্রহকারীদের ভূমিকা গৌরবের বলে বিবেচিত হলেও, লুসিল ব্রোকওয়ের মতো ইতিহাসবিদ তাঁদের কাজে দেখেছেন সাম্রাজ্যবাদের ছাপ। বিচার-বিশ্লেষণে হয়তো তাঁর ভাবনাকে সমর্থন না করে পারা যাবে না, কিন্তু যে উদ্ভিদ সংগ্রহকারীদের ‘প্ল্যান্ট হান্টার’ বা ‘প্ল্যান্ট পাইরেট’ বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের অবদানে সৃষ্ট বিশ্বময় ছড়িয়ে থাকা উদ্ভিদ-উদ্যানগুলি, হাজার হাজার প্রজাতির লক্ষ লক্ষ উদ্ভিদ অরণ্য থেকে এনে সংরক্ষণ করেছে এবং নিশ্চিত করেছে তাদের অস্তিত্বরক্ষাকে। উদ্ভিদ অন্বেষণ এবং সংগ্রহ অত্যন্ত কঠিন কাজ। কাঙ্ক্ষিত উদ্ভিদ শনাক্ত করার দক্ষতাই শুধু নয়, উদ্ভিদ অন্বেষণ এবং সংগ্রহের অভিযানে প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম করার ক্ষমতা, অপরিসীম কষ্টসহিষ্ণুতা এবং আলোকচিত্রবৎ স্মৃতিশক্তি। তাঁদের বিপদ জড়িয়ে থাকত পায়ে পায়ে— মৌমাছির কামড়, বন্যপশুর হামলা, সাপের ছোবল, জনজাতিদের বাধা, তাঁদের বিষাক্ত তিরের ফলা, গহণ অরণ্যে হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা— এমনই নানা ধরনের বিপদের আশঙ্কা, যা আগে থেকে অনুমান করা ছিল অসম্ভব৷




এমনটা ঘটেছিল ফরাসি মহিলা অন্বেষণকারী জাঁ ব্যারেটের ক্ষেত্রে। ১৭৬৬-তে ‘এলঅয়লে’ নামে এক জাহাজে চড়ে তিনি পাড়ি দেন উদ্ভিদ অন্বেষণ ও সংগ্রহের লক্ষ্য নিয়ে। কাজটা করতে হয়েছিল গোপনে, কারণ ফরাসি রাজার সেই আমলে কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ ছিল নৌবাহিনীর জাহাজে কোনও মহিলার যাত্রা। দমে যাওয়ার পাত্রী ছিলেন না জাঁ ব্যারেট। এক তরুণের ছদ্মবেশে তাঁর উদ্ভিদবিদ প্রেমিকের সহযোগী হিসেবে ভিড়ে গেলেন অন্বেষণকারীদের দলে। এই দুঃসাহসের জন্য বড় মাশুল দিতে হয়েছিল তাঁকে। জাহাজ তাহিতিতে পৌঁছনোর পর প্রকাশ হয়ে পড়ল তাঁর আসল পরিচয়। স্বদেশবাসী নাবিকদের গণধর্ষণের শিকার হলেন তিনি। এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার পরও তিনি যে সব উদ্ভিদ আবিষ্কার করেন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘বোগেনভিলিয়া’।

রবার্ট ফরচুন-এর উদ্ভিদবিদ্যায় কেতাবি জ্ঞান ছিল না। সব কিছুই শিখেছিলেন হাতে-কলমে। ১৮৩৯-এ লন্ডনের রয়্যাল হর্টিকালচারাল সোসাইটি ফরচুনকে ডেকে পাঠায় চিনে এক উদ্ভিদ-অন্বেষণ অভিযানে নেতৃত্ব দিতে। প্রথম আফিম যুদ্ধ তখন সবে শেষ হয়েছে। চিন পরাজিত। ইঙ্গ-চিন সম্পর্ক অসম্ভব তিক্ত। এই পরিস্থিতিতে ফরচুন প্রবেশ করলেন চিনে। তিনি ওয়াং নামে এক জন চিনা ভৃত্যকে নিয়োগ করলেন গাইড হিসেবে। কাজ চালানোর মতো রপ্ত করলেন মান্ডারিন ভাষাটা। ফরচুন যে চায়ের বীজের সন্ধানে গিয়েছিলেন, তা উৎপন্ন হত চিনের এক সুরক্ষিত অঞ্চলে, সেখানে বিদেশিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। তাই ওয়াং-এর পরামর্শ মতো মাথা কামিয়ে মাথার পেছনে নকল বেণী ঝুলিয়ে দিব্যি এক জন অভিজাত চিনার ছদ্মবেশ ধরে প্রবেশ করলেন সেই নিষিদ্ধ অঞ্চলে। কিন্তু বিপদ ঘটল সাংহাই ফেরার পথে। দু’-দুবার জলদস্যুদের আক্রমণের মুখে পড়লেন। বরাতজোরে এবং উপস্থিত বুদ্ধির বলে কোনও রকমে রক্ষা পাওয়ার পর আচ্ছন্ন হয়ে পড়লেন প্রবল জ্বরে, সম্ভবত প্রচণ্ড শারীরিক ও মানসিক ধকলের ধাক্কায়।

আরও ভয়ঙ্কর বিপদে পড়েছিলেন জর্জ ফরেস্ট। লন্ডনের ‘বিজি বিজ নার্সারি’-র অধিকর্তা এ কে বুলি, ফরেস্টকে দায়িত্ব দেন দক্ষিণ-পূর্ব তিব্বত-সহ পশ্চিম চিনের ইউনানে উদ্ভিদ-অন্বেষণ অভিযান পরিচালনা করতে। ফরেস্ট রওনা দেন ১৯০৪-এ। পরের বছর সংঘর্ষ শুরু হয় বিদ্রোহী তিব্বতিদের সঙ্গে চিনের। লাসা তখন বিদ্রোহীদের দখলে। অত্যন্ত প্রতিশোধপরায়ণ তিব্বতিরা বিদেশি দেখলেই হত্যা করছিল বাছ-বিচার না করেই। এই রকম এক দল তিব্বতির আক্রমণের মুখে পড়লেন ফরেস্ট ও তাঁর দলবল। এক-এক জন ঢলে পড়তে থাকল বিষাক্ত তিরবিদ্ধ হয়ে কিংবা তরোয়ালের কোপে। কয়েক জনকে ধরে নিয়ে গিয়ে তিব্বতিরা হত্যা করল চোখ উপড়ে, জিভ কেটে, অমানুষিক যন্ত্রণা দিয়ে। ফরেস্ট কোনও রকমে পালিয়ে যান প্রায় ষাট ফুট নীচে লাফ দিয়ে একটা সরু পথ ধরে ঘন বনের মধ্যে। পরের আট দিন তিনি দিনের বেলা গা-ঢাকা দিয়ে সারা রাত ছুটতেন কখনও পাহাড়ি পথে, কখনও জঙ্গলের মধ্য দিয়ে, কখনও কোমর পর্যন্ত বরফশীতল জল ভেঙে। আবারও পড়েন তিববতিদের মুখে। বিষাক্ত তির তাঁর টুপি উড়িয়ে নিয়ে গেলেও তিনি অক্ষত রয়ে যান আশ্চর্য ভাবে। পরে কিছু স্থানীয় মানুষের সাহায্যে তিব্বতি ছদ্মবেশে পৌঁছে যান তাঁর শিবিরে। এর পরও ফরেস্ট বিভিন্ন সময়ে ছ’বার উদ্ভিদ অন্বেষণ চালান চিনে।

রয়্যাল হর্টিকালচারাল সোসাইটি ১৮২৫ সালে রবার্ট ফরচুনের মতো ডেভিড ডগলাসকেও উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পাঠিয়েছিল উদ্ভিদের অন্বেষণে। ডগলাস সেখানে তিন বার অভিযান চালান। তৃতীয় বার হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে অভিযান চালাতে গিয়ে নিহত হন মর্মান্তিক ভাবে। তখন তাঁর বয়স মাত্র পঁয়ত্রিশ। তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় একটা বড় গর্তে, যেগুলো খুঁড়ে রাখা হত বুনো মোষ ফাঁদে ফেলার জন্য। সেই গর্তে একটা বুনো মোষ পড়ে যায়, মনে করা হয়েছিল তার আঘাতেই মৃত্যু হয় ডগলাসের। ঘটনাটা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়েছিল, কারণ ১৮৩৩-এ ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় এক নৌ-দুর্ঘটনায় তিনি প্রায় হারিয়ে বসেছিলেন তাঁর দৃষ্টিশক্তি। সম্ভবত ক্ষীণ দৃষ্টিশক্তির কারণে তিনি পড়ে গিয়েছিলেন গর্তে। রহস্যের জট খোলে ঘটনার বারো বছর পরে। বুনো মোষ-শিকারি চার্লস হল জানান, ডগলাসকে হত্যা করেছিল তাঁরই গাইড, টাকার লোভে।

জোসেফ ডালটন হুকার ভারতে এসেছিলেন সিকিম হিমালয়ের অরণ্যে উদ্ভিদ অন্বেষণে। তাঁর এই কাজে বাদ সেধেছিলেন সিকিমের রাজা। তিনি আইনত ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অনুগত থাকতে বাধ্য হলেও তিনি এবং তাঁর দরবার শত্রুতা করেন হুকারের সঙ্গে। ১৮৪৮-এর সেপ্টেম্বরে তিনি সিকিম অরণ্যে প্রবেশের অনুমতি প্রার্থনা করলে তা নাকচ করে দেন রাজা। রাজা জানালেন, হুকার চাইলে তাঁকে কিছু গাছগাছড়ার নমুনা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এক জন উদ্ভিদ সংগ্রহকারীর পক্ষে এ এক হাস্যকর প্রস্তাব, হুকার রাজি হলেন না। আসলে রাজা ও দরবারের ক্ষোভ ছিল, সিকিমের কাছ থেকে ব্রিটিশ সরকারের দার্জিলিং কেড়ে নেওয়া। হুকার আশা করেছিলেন, ভারতের গভর্নর জেনারেল লর্ড ডালহৌসি নিশ্চয়ই সিকিমের উপর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে তাঁর সমস্যার সমাধান করবেন। কিন্তু ডালহৌসি আশ্চর্য রকম নিস্পৃহ রইলেন। কর্তব্য সারলেন সিকিমের রাজাকে হুকারের নিরাপত্তা এবং সব রকম সহযোগিতা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়ে। ১৮৪৯-এর মে মাসে হুকার যাত্রা শুরু করলে প্রতি পদে বাধা সৃষ্টি করতে লাগলেন রাজা এবং দেওয়ান। স্থানীয় জমিদাররাও চেষ্টা চালিয়ে গেলেন হুকারের অভিযানকে নিষ্ফল করতে। তাঁদের ইঙ্গিতে গ্রামবাসীরাও হুকার এবং তাঁর দলকে খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করল। হুকার ছিলেন একরোখা, জেদি মানুষ। বাড়তি সাহস পেলেন ডোঙ্গিয়া গিরিপথ পেরোনোর পর দার্জিলিং-এর সুপারিন্টেন্ডেন্ট ক্যাম্পবেল তাঁর সঙ্গে যোগ দেওয়ায়। কিন্তু চোলা গিরিপথের কাছে আসতেই দেওয়ানের লোকজন পণবন্দি করল হুকার ও ক্যাম্পবেলকে। একটা কুঁড়েঘরে তাদের ছ’সপ্তাহ আটকে রাখা হল, সঙ্গে প্রচণ্ড শারীরিক নির্যাতন। দুঃসংবাদটা কলকাতায় পৌঁছলে ব্রিটিশ সরকার সিকিম-সীমান্তে সেনা পাঠালে রাজা বাধ্য হলেন তাঁদের মুক্তি দিতে।

এমন অসংখ্য বিপদসঙ্কুল অভিযানের কথা জানা যায় উদ্ভিদ অন্বেষণকারী ও সংগ্রহকারীদের রচনা থেকে, যা রীতিমতো রোমাঞ্চকর। ফ্রান্সিস কিংডম ওয়ার্ড লিখেছেন, উদ্ভিদ-শিকার মৃগয়ায় মতো বিনোদন নয়, বরং অনেকের ক্ষেত্রেই ছিল রুজি-রোজগারের পথ। কিন্তু এই পেশা গ্রহণের পিছনে অন্যতম প্রেরণা ছিল উদ্ভিদপ্রীতি। আর্থিক প্রশ্ন এ পেশায় জড়িত থাকলেও উদ্ভিদ অন্বেষণকারীকে সবচেয়ে বেশি আনন্দ দিত হঠাৎ খুঁজে পাওয়া কোনও এক অচেনা উদ্ভিদ। বিশিষ্ট উদ্ভিদ-সন্ধানী এবং স্বল্পশিক্ষিত উদ্ভিদ-শিকারি— উভয়ের উদ্যম, পরিশ্রম এবং মৃত্যুঞ্জয়ী অভিযানে বিখ্যাত উদ্ভিদ উদ্যানগুলি সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছে। কিন্তু উদ্ভিদবিজ্ঞানী, যাঁরা উদ্ভিদ অন্বেষণে নেতৃত্ব দিতেন, তাঁরা সারস্বত সমাজের মানুষ হওয়ার জন্য ইতিহাসবিদের আলোচনার আলোয় এসেছেন। উপেক্ষিত থেকে গেছেন সেই সব উদ্ভিদ সংগ্রহকারী, যাঁরা সাধারণ উদ্যানপালক কিংবা উদ্ভিদ-উদ্যানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মানুষ। যখন কোনও বিচিত্র, মূল্যবান, অভিনব উদ্ভিদ আবিষ্কৃত হয়েছে, তার নামকরণ হয়েছে অন্বেষণকারী দলের নেতৃত্বে থাকা উদ্ভিদবিজ্ঞানীর নামে। জাঁ ব্যারেট গণধর্ষিতা হওয়ার পরও আবিষ্কার করেছিলেন ‘বোগেনভিলিয়া’। নামকরণ হয়েছিল অভিযানের নেতা লুই অ্যান্টনি ডি বোগেনভিল-এর নামে। এমন নজিরের অভাব নেই ইতিহাসে। উদ্ভিদবিজ্ঞানীরা বিখ্যাত হয়েছেন, মোটা অঙ্কের অর্থ উপার্জন করেছেন, কুড়িয়েছেন রাষ্ট্রীয় সম্মান। কিন্তু তাঁদের অভিযানে যে সব উদ্ভিদ সংগ্রহকারী ছিলেন, তাঁরা খ্যাতি-সম্মান দূরের কথা, সামান্য আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্যও লাভ করতে পারেননি জীবনে। জোসেফ ব্যাঙ্কস, যিনি ১৭৭২ থেকে ১৮২০ পর্যন্ত কিউ গার্ডেন্সের হর্তাকর্তা ছিলেন, জর্জ কেলিকে নিউ সাউথ ওয়েলস-এ পাঠান সপ্তাহে মাত্র পনেরো শিলিং পারিশ্রমিক মঞ্জুর করে।

উনিশ শতকের প্রথম দিকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিতে কর্মরত জার্মান উদ্ভিদবিজ্ঞানী বেঞ্জামিন হেন বলেছিলেন, ভারতীয় উদ্ভিদ সংগ্রহকারীদের সহযোগিতা ছাড়া ভারতে উদ্ভিদ সংগ্রহ অসম্ভব। তিনি এমনও দাবি করেন যে, তাঁর সঙ্গে এমন কয়েকজন ভারতীয় সংগ্রহকারী ছিলেন, যাঁরা ফুলের লিঙ্গ নির্ণয় করতে সক্ষম। নেপালে ইউরোপীয়দের অবাধ বিচরণের স্বাধীনতা না থাকায় তাঁরা নিয়োগ করেছিলেন স্থানীয় উদ্ভিদ সংগ্রহকারীদের। এডওয়ার্ড ম্যাডেন, যিনি ১৮৪০-এ সাহারানপুরের উদ্ভিদ-উদ্যানের কর্মী মারদান আলিকে চিনিয়ে দিয়েছেন প্রকৃতিবিজ্ঞানের এক জন প্রকৃত অনুরাগী বলে। মারদান উত্তর ভারত ও হিমালয়ের উদ্ভিদজগৎ সম্পর্কে একটা গ্রন্থ রচনা করেন উর্দুতে। সে গ্রন্থ রয়ে গেছে পাণ্ডুলিপি হয়ে, তা প্রকাশের কোনও উদ্যোগ নেয়নি ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ।

No comments

Powered by Blogger.