রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মামলায় জয় - তিন মাসের মধ্যে ডিএ দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মামলায় জয় - তিন মাসের মধ্যে ডিএ দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ্য ভাতা (ডি এ ) সংক্রান্ত মামলার শুনানি সম্প্রতি ,বিচারপতি ট্যান্ডন ও রবীন্দ্র নাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে শেষে রায়দান ।
মহার্ঘ ভাতা হল আইনি অধিকার এবং মৌলিক অধিকার। এটা একটা ন্যায্য পাওনা। এমনটাই অভিমত কলকাতা হাইকোর্টের। SAT-এর নির্দেশই বহাল রাখল আদালত। আগামী তিন মাসের মধ্যে ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দিতে হবে। এমনই নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের।
মহার্ঘ ভাতা হল আইনি অধিকার এবং মৌলিক অধিকার। এটা একটা ন্যায্য পাওনা। এমনটাই অভিমত কলকাতা হাইকোর্টের। SAT-এর নির্দেশই বহাল রাখল আদালত। আগামী তিন মাসের মধ্যে ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দিতে হবে। এমনই নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের।
রাজ্য সরকারি কর্মীদের পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বকেয়া ৩২ শতাংশ মহার্ঘ ভাতার দাবিতে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে ২০১৬ সালে মামলা হয়। মামলা করে কর্মচারীদের সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্মেন্ট এমপ্লয়িজ। এ নিয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াই চলে। শেষপর্যন্ত স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল বকেয়া মিটিয়ে দিতে বলে। এই রায়কেই চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যায় রাজ্য সরকার। বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার বিভিন্ন সময় ডিএ দেওয়ার ঘোষণা করলেও বাংলায় ডিএ-র দেখা নেই। এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৩৪ শতাংশ ডিএ পাচ্ছেন। যদিও বাংলার রাজ্য সরকারি কর্মীরা মাত্র ৩ শতাংশ ডিএ পাচ্ছেন। রাজ্য সরকার দাবি করেছিল, এত তহবিলে টাকা নেই সরকারের। এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। এদিন আদালতে রাজ্যের সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। আদালত স্পষ্ট জানায়, রাজ্যের মুখ্যসচিবকে তিন মাসের মধ্যে স্যাটের অর্ডার কার্যকরী করতে হবে।
বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত বলেন, "রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা পাওয়া মৌলিক ও আইনত অধিকার। অল ইন্ডিয়া প্রাইস ইনডেক্স অনুযায়ী তারা ডিএ পেতে বাধ্য। সাংবিধানিক অধিকার অনুযায়ী রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের রাজ্য সরকার ডিএ দিতে বাধ্য। অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস অনুযায়ী রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের তিন মাসের মধ্যে বকেয়া ডিএ দিয়ে দিতে হবে।
এখন দেখার রাজ্য সরকার এই রায়কে মেনে নেয় নাকি আবার সুপ্রিম কোর্টে লড়াই করতে যায় ।
এখন দেখার রাজ্য সরকার এই রায়কে মেনে নেয় নাকি আবার সুপ্রিম কোর্টে লড়াই করতে যায় ।
No comments