Header Ads

মৌলিক অধিকার

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের অনুকরণে ভারতীয় সংবিধান তৈরি, মৌলিক অধিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের মতই ভারতীয় সংবিধানের তৃতীয় নম্বর অংশে রয়েছে। ধারা নম্বর ১২-৩৫ । তৃতীয় নম্বর অংশ আর ধারা নম্বর ১২-৩৫ এক সঙ্গে ভারতীয় সংবিধানের মেগনা কাটা বলে । মৌলিক অধিকারের লিপি করেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরু। প্রথমে মৌলিক অধিকার ছিল ৭টি । ১৯৭৮ সালে সংবিধানের ৪৪তম সংশোধনে সম্পত্তি অধিকারকে মৌলিক অধিকারের আওতা থেকে বাদ দেওয়া হয়। বর্তমানে সম্পত্তির অধিকার একটি আইনি অধিকার।

*** শুধুমাত্র 2019 পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরের ক্ষেত্রে এটা মৌলিক অধিকার ছিল । কিন্তু 370 নম্বর ধারা বিলোপ এর সঙ্গে সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরে 6 টি মৌলিক অধিকার হয়েছে। 


বর্তমানে মৌলিক অধিকার ছয়টি

১) সাম্যের অধিকার 

১৪ নং ধারা- আইনের দৃষ্টিতে সাম্য ও সমান সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার।

১৫ নং ধারা- ধর্ম, জাতি, বর্ণ, লিঙ্গ এবং জন্মস্থানের বিচারে কোন নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্রের বৈষম্যমূলক আচরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

১৬ নং ধারা- সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সকল নাগরিক সমান সুযোগ পাবে। এ ক্ষেত্রে ধর্ম, বর্ণ, বংশ, জন্মস্থান ও লিঙ্গের বিচারে কোন নাগরিকের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা যাবে না।

১৭ নং ধারা- সমস্ত রকম অস্পশ্যতার বিলোপ সাধন করা হয়েছে অস্পৃশ্যতা মদতদাতাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তির কথাও বলা হয়েছে।

১৮ নং ধারা- সামরিক শৌর্য বা বিদ্যার স্বীকৃতি ছাড়া রাষ্ট্র কোন রকম শিরোপা বা খেতাব দিতে পারে না।



২) স্বাধীনতার অধিকার 

 ১৯  নং ধারা- 

ক) বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা
খ) শান্তিপূর্ণ ও নিরস্ত্রভাবে সমবেত হওয়ার অধিকার।
গ) সংঘ ও সমিতি গঠনের অধিকার।
ঘ) ভারতীয় ভূখণ্ডের যে কোনও অংশে স্বাধীনভাবে চলাফেরার অধিকার।
ঙ) যে কোনও বৃত্তি, পেশা ও ব্যবসা বাণিজ্যের অধিকার।
২০ নং ধারা- কোনও নাগরিক যদি আইন ভঙ্গ করে, তবে যে সময় আইনিভঙ্গ করা হয়েছে, সেই সময়কার প্রচলিত আইনে রাষ্ট্র তাকে শাস্তি দিতে পারবে। একই ধারায় বলা হয়েছে যে, একই অপরাধের জন্য কোন ব্যক্তিকে দু-বার শাস্তি দেওয়া যাবে না। কোনও ব্যক্তিকে তার নিজের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা যাবে না।
২১ নং ধারা- আইন নির্দিষ্ট পদ্ধতি ছাড়া কোনও নাগরিককে তার জীবন ও স্বাধীনতার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।
২২ নং ধারা- কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে যথেচ্ছভাবে গ্রেপ্তার ও আটকের বিরুদ্ধে নাগরিকদের রক্ষা করার ব্যবস্থা রয়েছে।


৩) শোষনের বিরুদ্ধে অধিকার 

২৩নং ধারা- মানুষ পাচার, তাদের বেগার খাটানো বা তাদের ওপর বল প্রয়োগ করে কাজ করানোকে দন্ডনীয় অপরাধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

২৪নং ধারা- খনি, কলকারখানা ও অন্যান্য বিপজ্জনক পেশায় ১৪ বছরের কমবয়সী শিশুদের নিয়োগ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।


৪) ধর্মাচারণের স্বাধীনতার অধিকার 


২৫ নং ধারা-  প্রত্যেক নাগরিককে তাদের নিজেদের বিবেক অনুযায়ী যে কোনও ধর্মমত গ্রহণ, ধর্মপালন ও নিজেদের ধর্মমত প্রচারের অধিকার দেওয়া হয়ছে। ।
২৬নং ধারা- ধর্মীয় ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও তা রক্ষণাবেক্ষণের অধিকার দেওয়া হয়েছে প্রতি ধর্মকে।
২৭ নং ধারা-  ধর্মের ভিত্তিতে কর বসানোর প্রথা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
২৮ নং ধারা-  সম্পূর্ণভাবে বা আংশিকভাবে সরকারি অর্থ দ্বারা পরিপোষিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

৫) সংস্কৃতি ও শিক্ষার অধিকার 


২৯ নং ধারা-  ভারতে বসবাসকারী সকাল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে তাদের ভাষা, লিপি ও সংস্কৃতি বজায় রাখার ও তা সংরক্ষণ করার অধিকার দেওয়া হয়েছে।
৩০ নং ধারা-  ধর্মীয় ও ভাষাগতভাবে সংখ্যালঘু সমস্ত সম্প্রদায় নিজেদের পছন্দ মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পরিচালান করতে পারেন। অনুমদান দেওয়ার সময় এই সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির প্রতি রাষ্ট্র কোনও রকম বৈষম্যমূলক আচরণ করতে পারবে না।


৬) সাংবিধানিক প্রতিবিধানের অধিকার 

আগে আলোচনা করা হয়েছিল,  

No comments

Powered by Blogger.