নরহরি দাস উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী
লেখক পরিচিতি বাংলা সাহিত্যের খ্যাতনামা লেখক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী । যিনি ছিলেন প্রখ্যাত শিশু সাহিত্যিক সুকুমার রায়ের পিতা । তার জন্ম 1863 সালে। তা লেখা কয়েকটি জনপ্রিয় বই হল টুনটুনির বই ,গুপি গাইন বাঘা বাইন, ছেলেদের রামায়ণ ও ছেলেদের মহাভারত প্রভৃতি। তিনি 1913 সালে সন্দেশ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন । এই পত্রিকার প্রচ্ছদ অন্যান্য ছবি তিনি নিজের হাতে আঁকতেন । বাংলায় আধুনিক মুদ্রণ শিল্পের অন্যতম পথিকৃৎ বলা হয় তাকে। 1915 সালে এই মহান লেখক এর জীবনাবসান হয় ।
নরহরি দাস গল্প টি টুনটুনির বই থেকে নেওয়া হয়েছে
সারসংক্ষেপ মাঠের পাশে এক বনের ধারে একটি বড় পাহাড়ের এক গর্তে একটি ছাগল ছানা তার মায়ের সঙ্গে থাকত । সে ছিল ছোট । বাইরে যেতে চাইলেই তার মা তাকে বাঘ,ভাল্লুক এ ধরবে সিংহ খেয়ে ফেলবে বলে ভয় দেখাতো । এরপর যখন সে একটু বড় হলো- তার ভয়ে কমলো, তখন সে একটি গর্তের বাইরে চলে এলো ।সেখানে সে একটি ষাঁড় কে ঘাস খেতে দেখলো । সে ভাবল সাথেও বুঝি তার মত ছাগল, খুব ভালো জিনিসকে এত বড় হয়েছে । ছাগলছানা টি ষাড় কি খাবার খায় প্রশ্ন করায়- সে বলে বোনের ভিতরে চমৎকার ঘাস আছে, সেই খেয়ে সে এত বড় হয়েছে । সেখানে গিয়ে ছাগলছানা টি এমন ঘাস খেলে পেট ভারী হয়ে আসে চলতে পারে না। এদিকে সন্ধ্যে হয়ে আসছে, তাই, সে একটি গর্ত দেখে তার ভেতর ঢুকে রইলো, সেটি এক শেয়ালের। সে তার মামা বাঘের বাড়িতে নেমন্তন্ন খেয়ে অনেক রাতে ফিরে দেখে, গর্তের ভিতর একটা জন্তু বা রাক্ষস ঢুকে রয়েছে । ভয়ে শিয়াল টি জিজ্ঞাসা করে ঘর কে? ছাগল ছানাটির ছিল ভারি বুদ্ধি সে সুর করে বলে আমি সিংহের মামা নরহরি দাস। 50 বাঘে মোর এক গ্রাস, এই শুনে ভয় শিয়াল একছুটে বাঘের কাছে ফিরে গেল । বাঘ আশ্চর্য হয়ে গেলো , শিয়াল তখন হাঁপাতে হাঁপাতে বললো- মামা আমার গর্তে এক নরহরি দাস এসেছে যে কিনা এক গ্লাসে 50 বাঘ খায়। শুনে বাঘ রেগে বলল - বটে চলো দেখি । শেয়াল বলল মামা সে যদি সেখানে আমাকে খেতে আসে, আমি তো তোমার মত ছুটতে পারবো না। তাই তুমি আমাকে নিজের সঙ্গে বেঁধে নিয়ে চলো। এমন ভাবে শেয়ালকে নিয়ে এল । যেই বেঁধে গর্তের কাছে এলো বাঘ, ছাগল ছানাটি দূর থেকে দেখতে বলল- দূর হতভাগা তোকে 10 টা বাগ আনতে বললুম তুই একটা বাঘ নিয়ে এলি ? ভয় পেয়ে বাঘ ভাবলে শিয়াল নিশ্চয়ই তাকে ভুলিয়ে নিয়ে এসেছে । নরহরি দাস কে খেতে দেওয়ার জন্য, সে লম্বা এক লাফ দিয়ে শিয়ালকে শুদ্ধ নিয়ে পালালো । শিয়াল বেচারার মাটিতে আছাড় খেয়ে , ক্ষেতের আলে ঠোক্কর নাজেহাল অবস্থা হল । এইভাবে সারাটা রাত শিয়াল এবং বাঘ ছোটাছুটি করলো । সকাল হতে ছাগলছানা বাড়ি ফিরে এলো
উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর লেখা তোমার একটি প্রিয় বইয়ের নাম লেখো?
উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর লেখা একটি বইয়ের নাম গুপী গাইন বাঘা বাইন
তার লেখা গল্প অবলম্বনে কোন সিনেমা দেখেছো?
তার লেখা গল্প অবলম্বনে তৈরি গুপী গাইন বাঘা বাইন সিনেমাটি দেখেছি ।
নরহরি দাস গল্প টি টুনটুনির বই থেকে নেওয়া হয়েছে
আমাদের সাথে telegram এ যুক্ত হন -- https://t.me/railwaysntpcbengali
আমাদের সাথে whatsapp এ যুক্ত হন--- https://whatsapp.com/channel/0029Vb2bIFU8PgsE1peYGE2c
সারসংক্ষেপ মাঠের পাশে এক বনের ধারে একটি বড় পাহাড়ের এক গর্তে একটি ছাগল ছানা তার মায়ের সঙ্গে থাকত । সে ছিল ছোট । বাইরে যেতে চাইলেই তার মা তাকে বাঘ,ভাল্লুক এ ধরবে সিংহ খেয়ে ফেলবে বলে ভয় দেখাতো । এরপর যখন সে একটু বড় হলো- তার ভয়ে কমলো, তখন সে একটি গর্তের বাইরে চলে এলো ।সেখানে সে একটি ষাঁড় কে ঘাস খেতে দেখলো । সে ভাবল সাথেও বুঝি তার মত ছাগল, খুব ভালো জিনিসকে এত বড় হয়েছে । ছাগলছানা টি ষাড় কি খাবার খায় প্রশ্ন করায়- সে বলে বোনের ভিতরে চমৎকার ঘাস আছে, সেই খেয়ে সে এত বড় হয়েছে । সেখানে গিয়ে ছাগলছানা টি এমন ঘাস খেলে পেট ভারী হয়ে আসে চলতে পারে না। এদিকে সন্ধ্যে হয়ে আসছে, তাই, সে একটি গর্ত দেখে তার ভেতর ঢুকে রইলো, সেটি এক শেয়ালের। সে তার মামা বাঘের বাড়িতে নেমন্তন্ন খেয়ে অনেক রাতে ফিরে দেখে, গর্তের ভিতর একটা জন্তু বা রাক্ষস ঢুকে রয়েছে । ভয়ে শিয়াল টি জিজ্ঞাসা করে ঘর কে? ছাগল ছানাটির ছিল ভারি বুদ্ধি সে সুর করে বলে আমি সিংহের মামা নরহরি দাস। 50 বাঘে মোর এক গ্রাস, এই শুনে ভয় শিয়াল একছুটে বাঘের কাছে ফিরে গেল । বাঘ আশ্চর্য হয়ে গেলো , শিয়াল তখন হাঁপাতে হাঁপাতে বললো- মামা আমার গর্তে এক নরহরি দাস এসেছে যে কিনা এক গ্লাসে 50 বাঘ খায়। শুনে বাঘ রেগে বলল - বটে চলো দেখি । শেয়াল বলল মামা সে যদি সেখানে আমাকে খেতে আসে, আমি তো তোমার মত ছুটতে পারবো না। তাই তুমি আমাকে নিজের সঙ্গে বেঁধে নিয়ে চলো। এমন ভাবে শেয়ালকে নিয়ে এল । যেই বেঁধে গর্তের কাছে এলো বাঘ, ছাগল ছানাটি দূর থেকে দেখতে বলল- দূর হতভাগা তোকে 10 টা বাগ আনতে বললুম তুই একটা বাঘ নিয়ে এলি ? ভয় পেয়ে বাঘ ভাবলে শিয়াল নিশ্চয়ই তাকে ভুলিয়ে নিয়ে এসেছে । নরহরি দাস কে খেতে দেওয়ার জন্য, সে লম্বা এক লাফ দিয়ে শিয়ালকে শুদ্ধ নিয়ে পালালো । শিয়াল বেচারার মাটিতে আছাড় খেয়ে , ক্ষেতের আলে ঠোক্কর নাজেহাল অবস্থা হল । এইভাবে সারাটা রাত শিয়াল এবং বাঘ ছোটাছুটি করলো । সকাল হতে ছাগলছানা বাড়ি ফিরে এলো
উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর লেখা তোমার একটি প্রিয় বইয়ের নাম লেখো?
উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর লেখা একটি বইয়ের নাম গুপী গাইন বাঘা বাইন
তার লেখা গল্প অবলম্বনে কোন সিনেমা দেখেছো?
তার লেখা গল্প অবলম্বনে তৈরি গুপী গাইন বাঘা বাইন সিনেমাটি দেখেছি ।
আমাদের সাথে telegram এ যুক্ত হন -- https://t.me/railwaysntpcbengali
আমাদের সাথে whatsapp এ যুক্ত হন--- https://whatsapp.com/channel/0029Vb2bIFU8PgsE1peYGE2c
No comments