Header Ads

সুপ্রিম কোর্ট



সুপ্রিম কোর্ট

সংবিধানের 124 (1) অনুচ্ছেদ ভারতীয় বিচারব্যবস্থার শীর্ষে রয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ।সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ছাড়াও আরও ৩০ জন বিচারপতি থাকেন। মোট ৩১ জন । তবে বর্তমানে ২৫ জন আছেন ।  সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির সংখ্যা নির্ধারণের অধিকার সংসদের।

সুপ্রিম কোর্টের কার্যক্ষেত্র

ভারতের সুপ্রিম কোর্টের কার্যক্ষেত্রকে মূলত চার ভাগে ভাগ করা যায় :

 মূল এলাকা :এমন কতগুলি মামলা আছে যেগুলি অন্য কোনো আদালতে উত্থাপন করা যায় না, কেবলমাত্র সুপ্রিমকোর্টের মূল এলাকাতেই উত্থাপিত হয় এবং নিষ্পত্তি করা যায় ।এগুলি হলো
 
1. কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে এক বা একাধিক রাজ্যের বিরোধ।
 2. কেন্দ্রীয় সরকার এবং এক বা একাধিক রাজ্য সরকারের সঙ্গে বিবদমান একাধিক রাজ্য সরকারের বিরোধ,
 3. একদিকে এক বা একাধিক রাজ্য সরকারের সঙ্গে অন্য একটি বা একাধিক রাজ্য সরকারের বিরোধ।
 4.রাষ্ট্রপতি অথবা উপরাষ্ট্রপতির নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো বিরোধ। 


আপিল এলাকা

সুপ্রিম কোর্টে চার ধরনের আপিল করা যায় ।এগুলি হলো :

(ক) সংবিধানের ব্যাখ্যা সংক্রান্ত আপিল

দেওয়ানী ফৌজদারী অথবা অন্য কোনো মামলায় হাইকোর্ট যদি প্রমান পত্র দেয় বা সুপ্রিম কোর্ট যদি মনে করে যে মামলাটি সঙ্গে সংবিধানের ব্যাখ্যা সংক্রান্ত প্রশ্ন জড়িয়ে আছে তাহলে সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা যায়।

 (খ) দেওয়ানী আপীল –

কোন দেওয়ানী মামলায় হাইকোর্ট যদি এই মর্মে প্রমাণপত্র দেয় যে মামলাটির সঙ্গে আইনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন জড়িত তাহলে সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা যায় ।

(গ) ফৌজদারি আপিল –

ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে তিন ধরনের আপিল করা যায় যথা, 

1.নিম্ন আদালতে নির্দোষ বলে প্রমাণিত কোন ব্যক্তিকে যখন হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ড দেয়, 
2. নিম্ন আদালতে বিচার চলাকালীন কোন মামলা কে নিজের হাতে তুলে নিয়ে হাইকোর্ট যদি কোন ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়, 
3. হাইকোর্ট যদি এই মর্মে প্রমাণপত্র দেয় যে মামলাটি সুপ্রিমকোর্টে আপিল যোগ্য ।

(ঘ)বিশেষ অনুমতি মাধ্যমে আপিল –

ন্যায়-নীতি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এবং বিশেষ পরিস্থিতিতে ভারতের যেকোনো আদালতে যে কোন রায়, আদেশ ও দন্ডের বিরুদ্ধে (সামরিক আদালত ও ট্রাইব্যুনালে )আপিল করার বিশেষ অনুমতি সুপ্রিমকোর্ট দিতে পারে।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের নিয়োগ

1.সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি কে নিয়োগের সময় রাষ্ট্রপতি প্রয়োজন মনে করলে সেই মতো সুপ্রিম কোর্টের এবং হাইকোর্টের বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনা করেন ।

2.সুপ্রিমকোর্ট এবং হাইকোর্টের বিচারপতিদের নিয়োগের সময় রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পরামর্শ মেনে চলতে বাধ্য।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হওয়ার জন্যঃ -

1.ভারতীয় নাগরিক হতে হবে ,।

2.তাঁকে কোন একটি হাইকোর্টে বা পরপর দুটি বা তার বেশি হাইকোর্টে বিচারপতি হিসাবে অন্তত পাঁচ বছর কাজ করতে হবে ।



3.অথবা দশ বছর কোন একটি হাইকোর্ট বা দুটি বা তার বেশি হাইকোর্টের এডভোকেট হিসাবে আইন ব্যবসা করতে হবে।

4.অথবা রাষ্ট্রপতির মতানুসারে একজন বিচক্ষণ আইনজ্ঞ হতে হবে (124 (3) নম্বর ধারা)।



অস্থায়ী ভিত্তিতে বিচারপতি নিয়োগ

সুপ্রিমকোর্টে অস্থায়ী ভিত্তিতে বিচারপতি নিয়োগ করা যায় ।আদালতের অধীন মামলাগুলির বিচারকার্য চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় বিচারকের সংখ্যা না থাকলে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতির সম্মতির ভিত্তিতে অস্থায়ী বিচারপতিদের প্রয়োজনীয় সময়ের জন্য নিয়োগ করতে পারেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে কাজ করার যোগ্যতাসম্পন্ন হাইকোর্টের বিচারপতিকে সুপ্রিম কোর্টের অস্থায়ী বিচারপতি রূপে নিয়োগ করা যায়।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির কার্যকাল ও বেতন

অবসর ও পদচ্যুত

1.সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অবসর গ্রহণের বয়স 65 বছর।

2.অবসর গ্রহণের পূর্বে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে পারেন (সেক্ষেত্রে পদত্যাগ পত্র প্রেরণ করতে হবে রাষ্ট্রপতিকে) অথবা সংসদ কর্তৃক পদচ্যুত হতে পারেন।

3. অবসর গ্রহণের পর ভারতের কোন আদালতে আইন ব্যবসা করা যাবে না ।

4. অসদাচরণ বা প্রমাণিত অসামর্থ্যের অভিযোগ সংসদের উভয় কক্ষে উপস্থিত ভোটদানকারী সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থনে পাস হলে রাষ্ট্রপতি কোনো বিচারপতিকে পদচ‍্যুত করতে পারেন। আজ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের কোন বিচারক কে পদচ্যুত করা হয়নি।



No comments

Powered by Blogger.